প্রকাশিত: Thu, Dec 29, 2022 4:14 AM
আপডেট: Mon, May 12, 2025 8:29 AM

‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ এবং ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ উপভোগ্য

সোহেল হাসান গালিব : সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাটকগুলোর মধ্যে ‘ঈর্ষা’কে অনেকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকেন। শ্রেষ্ঠর বাজারদর যে এতো কম তা আমার জানা ছিলো না। চারুকলার একজন ছাত্রীর দ্বৈত সম্পর্কের টানাপড়েন এই নাটকের ভরকেন্দ্র। ছাত্রীটি একইসঙ্গে তার শিক্ষক এবং সহপাঠীর সাথে প্রেম ও যৌনতায় আবিষ্ট। বিষয়টা জানাজানির পর 

তাদের মধ্যে যে হানাহানিকর পরিস্থিতি সেটাই এর মূল নাট্যিক দ্বন্দ্ব। আইডিয়া হিসেবে অত্যন্ত ক্লিশে। এডাল্ট মুভিগুলা এইসব কাহিনিতে ভরপুর। অতএব আমাদের বিচার্য নাটকের ভাষা তথা কাব্যগুণ। সৈয়দ হকের অধিকাংশ কবিতাই যেমন ফালতু, শেষ পর্যন্ত প্রায় পড়া যায় না, বাচালতায় টইটুম্বুর, এই নাটকও তাই। 

তিনটি চরিত্রের মনস্তত্ত্ব উদ্ঘাটন করতে সাতটি দীর্ঘ সংলাপের আশ্রয় নিয়েছেন লেখক। সংলাপগুলো জাস্ট অসহ্য, কাব্যিকতার ন্যাকামিতে নাস্তানাবুদ। বাংলার আহাম্মক নাট্যজনেরা অবশ্য মনে করে, দীর্ঘ সংলাপ রচনা রীতিমতো হ্যাডমের ব্যাপার। আমার ধারণা ঠিক উল্টোটা। 

ছোট ছোট সংলাপে আইডিয়া এবং মুড জেনারেট করাটাই আসল দক্ষতা। এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’। বুদ্ধদেব বসুর ‘প্রথম পার্থ’-ও সহনীয় সুন্দর। আঞ্চলিক ভাষাতেই সৈয়দ হকের কলম বরং ফুর্তি পায়। তার প্রগল্ভতা ওইখানে খাপ খায়। সেই হিসেবে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ আর ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ উপভোগ্য। যদিও এগুলো যতোটা না নাটক, তারও বেশি শ্লোগান। ফেসবুক থেকে